অন্যান্য

৩ মাসে রবির আয় আড়াই হাজার কোটি টাকা

বছরের প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ) অর্থাৎ ৩ মাসে দেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক রবি মোট ২ হাজার ৫১৬ দশমিক ২ কোটি টাকা আয় করেছে বলে জানিয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে রবি। এক বছর আগে একই সময়ে রবির আয়ের তুলনায় এবার ৭ দশমিক ২ শতাংশ বেশি আয় হয়েছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ডেটা সেবার আয়ের উপর নির্ভর করে সামগ্রিক আয়ের প্রবৃদ্ধি করে রবি। মোট ডেটা গ্রাহকের বিচারে এই খাতে সর্বোচ্চ শতাংশ ফোরজি গ্রাহক এখন রবির দখলে বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানটির প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, নিজেদের নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে নতুন ৫৭৭টি ফোরজি সাইট যুক্ত করেছে রবি। বর্তমানে রবির ৮১ শতাংশের বেশি ডেটা গ্রাহক ফোরজি ব্যবহারকারী। গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রথম প্রান্তিকে ডেটা থেকে রবির আয় বেড়েছে ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ।

এছাড়া রবির আর্নিংস বিফোর ইন্টারেস্ট, ট্যাক্স, ডেপ্রিসিয়েশন এবং এমোর্টাইজেশন (ইবিআইটিডিএ) গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেড়ে ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ মার্জিনসহ ১ হাজার ২২০ দশমিক ২ কোটি টাকা হয়েছে। ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে কর-পরবর্তী মুনাফা (পিএটি) ছিল ১০৬ দশমিক ৭ কোটি টাকা, আর কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল শূণ্য দশমিক ২ টাকা।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রবির গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৮১ লাখে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ কোটি ৩৬ লাখ। ফোরজি ব্যবহারকারী গ্রাহকের সংখ্যা ৩ কোটি ৫৫ লাখ।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে রবি এক হাজার ৬০৫ দশমিক ৫ কোটি টাকা জমা দিয়েছে, যা ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে রবির অর্জিত আয়ের ৬৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এ সময়ে ৩৬৬ দশমিক ২ কোটি টাকা মূলধনী বিনিয়োগ করেছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও রাজীব শেঠি বলেন, সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং মূল্যস্ফীতির প্রভাব গ্রাহকদের মোবাইল ব্যবহারের ওপর পড়ছে। স্মার্টফোন ডিভাইসের ব্যবহারের প্রসার অনেকাংশে থমকে গেছে।

পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশের তুলনায় ডেটা ব্যবহার বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। তবে এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে অতি সত্বর স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রসার বাড়াতে সরকার থেকে নীতি সহায়তা প্রয়োজন বলে মনে করে রবি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *