প্রবীণ-নবীনে লড়াইয়ের আভাস চট্টগ্রাম-১০ আসনে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১০ আসনে প্রবীণ-নবীনে লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলি ওয়ার্ড থেকে টানা তিনবার বিপুল ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন মনজুর আলম। পরবর্তীতে মেয়র নির্বাচনেও তার জনপ্রিয়তার পরিচয় দেন, নির্বাচিত হন চসিক মেয়র। এর মধ্যে ২০০৮ সালে একবার চট্টগ্রাম-১০ আসন থেকে তিনি স্বতন্ত্র হিসেবে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হন।
রাজনীতিতে সজ্জন ও বিনয়ী হিসেবে পরিচিত মনজুর আলম ব্যবসার পাশাপাশি সারাবছরই সমাজসেবা করে থাকেন। নিজের হাতে প্রতিষ্ঠা করেছেন অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। সমাজে অভাবী মানুষদের অকাতরে দান করেন তিনি। বর্তমানে সরাসরি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত না থাকলেও সারাবছরই তিনি মানুষের কল্যাণে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন। এ কারণে তার পরিচিতির ব্যাপকতা রয়েছে। এবার চট্টগ্রাম-১০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছেন। ফুলকপি প্রতীক নিয়ে প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন, করছেন মতবিনিময় ও পথসভাও।
একই আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু। ডা. আফছারুল আমীনের ইন্তেকালের পর উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়ে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবারও তিনি এ আসনে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। মহিউদ্দিন বাচ্চুর এটি দ্বিতীয় নির্বাচন হলেও রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত বহু আগে থেকে। মহিউদ্দিন বাচ্চু দীর্ঘদিন ধরে নগর যুবলীগের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি নগর আওয়ামী লীগ নেতা। তার রয়েছে ব্যাপক কর্মী বাহিনীও। এবারের নির্বাচনে তিনি বিরামহীন গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত এ দুই প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা দেখে ভোটারদের অভিমত- নির্বাচনে মহিউদ্দিন বাচ্চুর সাথে মনজুর আলমের লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি।
নগরীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম-১০ (খুলশী-পাহাড়তলী-হালিশহর) আসনে এ দু’জন ছাড়া আরও সাত প্রার্থী রয়েছেন। তারাও ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ আসনে প্রচারণায় থাকা অন্য প্রার্থীরা হলেন- নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ (কেটলি), তৃণমূল বিএনপির মো. ফেরদাউস বশির (সোনালি আঁশ), জাতীয় পার্টির জহুরুল ইসলাম (লাঙ্গল), ইসলামী ফ্রন্টের আলমগীর হোসেন বঈদী (মোমবাতি), ইসলামিক ফ্রন্টের আবুল বাশার মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন (চেয়ার), সুপ্রিম পার্টির মিজানুর রহমান (একতারা) ও জাসদের মো. আনিসুর রহমান (মশাল)।
এর মধ্যে প্রচারণায় মাঠে রয়েছেন প্রথমবারের মতো নির্বাচন করা আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ। ছাত্রলীগ ও নগর যুবলীগ করে তিনি নগর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। এর আগে তিনি নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। কেটলি প্রতীক নিয়ে তিনি প্রতিদিন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ফরিদ মাহমুদ মানুষের বিপদ-আপদে পাশে থাকার চেষ্টা করেন, যুক্ত থাকেন সামাজিক কর্মকাণ্ডে