চট্টগ্রামনগরজুড়ে

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আলোচনা সভা

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে নগরীর সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি প্রবীর কুমার রায়, সিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এম এ মাসুদ, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সরোয়ার কামাল ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুর উদ্দিন।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। সে যুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ ছিল। কেউ সরাসরি যুদ্ধে অংশগহণ করেছে, কেউ বা ঘরে আশ্রয় দিয়ে আবার কেউ বা তথ্য কিংবা খাবার দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছিল।

এদের মধ্যে আর একটা শ্রেণী ছিল যারা দেশে বসবাস করে পাকিস্তানীদের এজেন্ট হিসেবে দেশের মুক্তিকামী মানুষের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা যখন দেশকে স্বাধীন করার দ্বারপ্রান্তে ঠিক তার আগমুহূর্তে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী তাদের এজেন্টদের সহযোগীতায় বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশা তৈরী করে।

তার অংশ হিসেবে তারা প্রায় ১ হাজার ৫’শ দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী হত্যা করে। সেদিন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক, ডাক্তার, প্রকৌশলী, গবেষক এমনকি প্রগতিশীল লোককেও তার হত্যা করে।

সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীনতা পাওয়ার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত এবং মেধাশূন্য একটি দেশ যেখানে বিধ্বস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা, ভঙ্গুর প্রায় অর্থনীতি হওয়া সত্ত্বেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখনই ঘাতকরা জাতির পিতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী চিন্তা ও যাদুকরী নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ এখন একটি বিষ্ময়ের নাম।

এখন পাকিস্তানিরা তাদের সরকারের কাছে দাবি করে পাকিস্তানকে যেন বাংলাদেশের অর্থনীতির মতন শক্তিশালী করে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে বসবাস করে যারা এখনো দেশের স্বাধীনতার ও অগ্রগতিকে মেনে নিতে চায় না, সেই রাজাকার ও রাজাকারের সন্তানদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানান মুক্তিযোদ্ধারা। একই সাথে নতুন প্রজন্মকে দেশ বিরোধী অপশক্তির অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সর্তক থাকার অনুরোধ জানান বক্তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *