ফেরদৌস আ.লীগ মনোনয়ন পাওয়ায় গর্বিত পূর্ণিমা
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন ঢালিউড অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ। এতে চলচ্চিত্রাঙ্গনে বিরাজ করছে খুশির আমেজ। অভিনেতার সহকর্মীরাও বেশ উচ্ছ্বসিত। অনেকেই জানাচ্ছেন শুভেচ্ছা।
এদিকে শোবিজে ফেরদৌসের সবচেয়ে ভালো বন্ধু অভিনেত্রী পূর্ণিমা। কথাটি অনেকের জানা। ফেরদৌস নিজেও একাধিকবার সংবাদমাধ্যমে বলেছেন কথাটি। প্রিয় বন্ধু নৌকার মাঝি হওয়ার বিষয়টি গর্ব করার মতো বলে মনে করছেন পূর্ণিমা।
ফেরদৌস মনোনয়ন পাওয়ায় নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে ঢাকা মেইলকে পূর্ণিমা বলেন, অনুভূতিটা ভালো লাগার এবং গর্ববোধ করার মতো। সবাই তাকে অ্যাপ্রিশিয়েট করছেন, আমিও করছি। ভালো লাগাটাই স্বাভাবিক।
এ সময় ফেরদৌসকে নিয়ে পূর্ণিমা আরও বলেন, ওনার (ফেরদৌস) থেকে এখনও আমি শিখি। ওনার থেকে অনেক শেখার আছে। উনি খুব ভালোভাবেই বোঝেন এবং জানেন, কোথায়, কীভাবে, কী পদক্ষেপ নিতে হয়। এখন যেহেতু অনেক বড় দায়িত্ব নিচ্ছেন উনি বুঝে শুনেই নিচ্ছেন। ভবিষ্যতে কীভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে, সেটাও উনি ভালোভাবে জানেন আশা করি। এক্ষেত্রে একজন শিল্পী বা বন্ধু হিসেবে ওনাকে পরামর্শ দেওয়ার কিছু নাই। তবে অভিনন্দন জানানোর আছে, ওনার জন্য শুভকামনা। ফোনে, ক্ষুদে বার্তায় কথা বলেছি। অভিনন্দন জানিয়েছি তাকে।
ফেরদৌস পূর্ণিমা জুটি বেঁধে একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। সেগুলো পেয়েছে দর্শকপ্রিয়তা। আরও কয়েকটি ছবি রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। এরমধ্যে ‘গাঙচিল’ ও ‘জ্যাম’ অন্যতম।
এর আগে সংবাদমাধ্যমে পূর্ণিমাকে নিয়ে ফেরদৌস বলেছিলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রিতে পূর্ণিমাই আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু। আমাদের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক অটুট সবসময়। পূর্ণিমার সঙ্গে এর আগেও বেশ কিছু সিনেমাতে কাজ করেছি। সেগুলো দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। মুক্তির অপেক্ষায় যে তিনটি সিনেমা রয়েছে প্রত্যেকটি সিনেমারই কিন্তু গল্প এককথায় অসাধারণ। আমাদের দুজনেরই চরিত্রে যেমন রয়েছে বিচিত্রতা, লুকেও ভিন্নতা আছে। চেষ্টাও করেছি নিজেদের চরিত্র সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে। আশা করা যায় সিনেমাগুলো মুক্তি পেলে দর্শক মুগ্ধ হবেন।’