চট্টগ্রাম

‘করোনা নাই, তাই মাস্ক পরি না’

‘মাস্ক পরি না, আমার গরম লাগে, এখন করোনা নাই’-বলছিলেন টেরিবাজারের একজন দোকানদার। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দোকানে প্রতিদিন শতাধিক ক্রেতার মুখোমুখি হতে হয় তাকে।

তার মতো অনেকের ধারণা, শুধু করোনার জন্যই এসেছে মাস্ক!

আবার যাদের প্রাতিষ্ঠানিক বাধ্যবাধকতায় মাস্ক পরতে হচ্ছে, তারাও কখনও থুতনিতে আটকে রেখে, টেবিলের পাশে ঝুলিয়ে রেখে কিংবা পকেটে পুরে দায় সারছেন।

এভাবেই করোনাসহ নানান রোগের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের চলাফেরা সর্বত্র।

পথচারী, মুদি দোকানদার, হোটেল-রেস্টুরেন্ট কর্মচারী, গণপরিবহনের চালক, সহকারী ও সুপারভাইজারসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অসচেতনতার কারণে রোগাক্রান্ত হচ্ছে, রোগ ছড়াচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, কাশির চেয়ে হাঁচি সজোরে বের হয়। হাঁচির বেগ ঘণ্টায় নব্বই থেকে একশ মাইল হয়, কাশি ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ মাইল বেগে ছুটে। একবার কাশি দিলে তিন থেকে পাঁচ হাজার ড্রপলেটস (যা বাতাসের উপাদান এবং জলীয়বাষ্প দিয়ে গঠিত) বের হয়ে আসে। আর একবার হাঁচি দিলে যে বাতাস বের হয়, তাতে ১০ হাজার থেকে ১ লাখ বেশি ড্রপলেটস থাকতে পারে। মাস্ক পরলে জীবাণু বহনকারী ড্রপলেটস থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।

চিকিৎসকরাও বলছেন, ধুলা-বালির মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের জীবাণু মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। বায়ুবাহিত এসব রোগের মধ্যে সর্দি জ্বর, হাম, বসন্ত, ইনফ্লুয়েঞ্জা, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হাঁপানি ও ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী রোগ অন্যতম। এ ধরনের রোগে আক্রান্তদের কফ, থুথু, হাঁচি-কাশির মাধ্যমে জীবাণু ছড়ায়। যক্ষ্মা রোগের জীবাণুও একইভাবে ছড়ায়। সুস্থ কেউ এসব রোগীর আশেপাশে থাকলে শ্বাস নেওয়ার সময় বাতাসের সঙ্গে ওই রোগের জীবাণু সুস্থ মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। তবে সঠিক নিয়মে মাস্ক পরলে এসব জীবাণুর সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *