ধর্ম

জামাতে নামাজ আদায়ে ২৭ গুণ বেশি সওয়াব

মসজিদে গিয়ে নিয়মিত জামাতে নামাজ আদায় করা প্রতিটি মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য। তবে অসুস্থ হলে অথবা কোনো কারণে অপারগ হলে ভিন্ন কথা।

মসজিদে জামাতে নামাজের গুরুত্ব ও সওয়াব অনেক বেশি। অসুস্থ অবস্থায় রাসুল (সা.) পায়ে হেঁচড়িয়ে ও দুইজন সাহাবির কাঁধে ভর দিয়ে জামাতে নামাজ পড়তে মসজিদে হাজির হয়েছেন।

জামাতে নামাজ আদায়ের সওয়াব সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন, ‘জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায়কারী একাকী নামাজ পড়া অপেক্ষা ২৭ গুণ বেশি মর্যাদার অধিকারী। ’ (বুখারি, হাদিস নং ৬৪৫, মুসলিম, হাদিসে নং ৬৫০)

মসজিদে এসে জামাতে নামাজ আদায় করা মুসলিম পুরুষের জন্য ঐচ্ছিক নয়, ওয়াজিবও বটে। এ প্রসঙ্গে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমার প্রাণ যার হাতে, তার শপথ করে বলছি, আমার ইচ্ছা হয় আমি কাঠ সংগ্রহ করার নির্দেশ দিই আর নামাজের আজান দেওয়ার জন্য হুকুম দিই। তারপর আমি এক ব্যক্তিকে হুকুম করি, যেন সে লোকদের নামাজের ইমামতি করে। আর আমি ওই সব লোকদের দিকে যাই, যারা নামাজের জামাতে হাজির হয়নি এবং তাদের বাড়ি ঘরগুলো আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিই। ’ (বুখারি, হাদিস ৬১৮)

রাসুল (সা.) ক্ষোভের কারণে এবং জামাতে নামাজের গুরুত্ব বোঝাতেই মূলত এভাবে বলেছেন। অনেক ফিকাহবিদ বলেছেন, জামাতে নামাজ আদায় না করলে নামাজের হক আদায় হয় না।

এক হাদিসে আছে, ‘যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন তাকবিরে উলার সঙ্গে (নামাজ শুরুর তাকবিরের সাথে) পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করল, তার জন্য দুইটি নাজাত লিপিবদ্ধ করা হল; জাহান্নাম থেকে ও মুনাফিকি থেকে তাকে পরিত্রাণ দেওয়া হয়। (বুখারি ও মুসলিম)

অন্য হাদিসে আছে, ‘যে ব্যক্তি জামাতের সঙ্গে এশার নামাজ আদায় করল, সে যেন অর্ধেক রাত পর্যন্ত দাঁড়িয়ে (ইবাদত) করল। আর যে ফজরের নামাজ জামাতসহ আদায় করল, সে যেন সারা রাত দাঁড়িয়ে (ইবাদত) নামাজ পড়ল। ’ (মুসলিম)।

হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) আরো বলেন, ‘যদি লোকে এশা ও ফজরের নামাজের ফজিলত জানত, তাহলে তাদের হামাগুঁড়ি দিয়ে আসতে হলেও তারা অবশ্যই ওই নামাজ দুইটিতে হাজির হতো। (বুখারি, মুসলিম)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *