চট্টগ্রামনগরজুড়ে

তারের জঞ্জাল থেকে চট্টগ্রাম নগরকে মুক্তি দিতে চান মেয়র

চট্টগ্রামের সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ‘চট্টগ্রামের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও তারের জঞ্জালে সৌন্দর্য বিনষ্ট করছে। অনেক সময় বিদ্যুতের খুঁটিতে এ তারের জন্য বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা ঘটছে। চট্টগ্রাম নগরীকেএ ই তারের জঞ্জাল থেকে মুক্তি দিতে চাই।’

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) নগরীর থিয়েটার ইন্সটিটিউটে চসিকের ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৫তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নগরীর সৌন্দর্য রক্ষায় তারের জঞ্জাল অপসারণ করতে হবে মন্তব্য করে মেয়র বলেন, ‘চট্টগ্রামকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব বাণিজ্যের কেন্দ্রে রূপান্তরে অনেকগুলো মেগা প্রকল্প নিয়েছেন। চট্টগ্রামের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও তারের জঞ্জালে সৌন্দর্য বিনষ্ট করছে। অনেক সময় বিদ্যুতের খুঁটিতে এ তারের জন্য বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা ঘটছে। এজন্য আমি ডিশ-ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করেছি। আমরা দুটি প্রস্তাব দিয়েছি। হয় আপনারা পৃথক খুঁটি তৈরি করে ট্রে ব্যবহার করে গুছিয়ে তারগুলি নিন অথবা আমাদের ভূ-গর্ভস্থ নালা ব্যবহার করে তার নিন। ইতোমধ্যে লালখানবাজার ওয়ার্ডে একটি পাইলট প্রকল্প চলমান আছে। ভবিষ্যতে সবার মতামতের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম নগরীকে তারের জঞ্জাল থেকে মুক্তি দিতে চাই।’

সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে চলমান প্রকল্পগুলোর গুণগত মান রক্ষায় ঠিকারদের জবাবদিহির আওতায় আনার ঘোষণাও দিয়েছেন সিটি মেয়র বীর রেজাউল করিম চৌধুরী।

সভায় ট্র্যাফিক বিভাগের এডিসি মো. কাজী হুমায়ুন রশীদ বলেন, হকারদের উঠিয়ে দিলেও তারা আবারও বসে যায়। এজন্য মেয়র মহোদয়ের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের সবগুলো সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে অভিযান পরিচালনা প্রয়োজন। এছাড়া, নগরীর জিইসি মোড়ে সেন্ট্রাল প্লাজার সামনে ত্রিমুখী সড়কে নিয়মিত দুর্ঘটনা হচ্ছে যা মোকাবিলায় একটি গোলচত্বর নির্মাণ করা জরুরি। পাশাপাশি নগরীতে পর্যাপ্ত জেব্রা ক্রসিং নেই। এজন্য পর্যাপ্ত জেব্রা ক্রসিং নির্মাণ করা জরুরি। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী রাজিব দাশ জানান, সিডিএ’র একটি প্রতিনিধি এক্সপ্রেসওয়ের র‌্যাম্পগুলো নগরীর কোন কোন পয়েন্টে নামবে তা চসিকের কাছে উপস্থাপন করবে।

সভায় বিগত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী, দরপত্র কমিটির কার্যবিবরণী এবং স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যবিবরণী অনুমোদিত হয়। স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতিগণ তাদের নিজ নিজ স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যবিবরণী পেশ করেন। সভায় চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদ, প্যানেল মেয়রবৃন্দ, কাউন্সিলরবৃন্দসহ চসিকের বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ এবং নগরীর বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *