চট্টগ্রাম

স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুর আলমের ব্যাপক গণসংযোগ

বিপুল সংখ্যক অনুসারী ও ভোটারদের সঙ্গে নিয়ে ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন চট্টগ্রাম-১০ সংসদীয় আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী, সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) ফুলকপি প্রতীকের এ প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় থেকে গণসংযোগ শুরু করেন তিনি।

সাগরিকা মোড়, সিডিএ মার্কেট, পাহাড়তলী বারকোয়ারটার, ঈদগাঁ কাঁচা রাস্তা, মনসুরাবাদ, দেওয়ানহাট, টাইগারপাস, আমবাগান, পাহাড়তলী কলেজ রোড, ওয়ার্লেস মোড়, জাকির হোসেন সড়ক, মহিলা কলেজ মোড়, জাকির হোসেন বাই লেইন, ২ নম্বর গেট, জিইসি, ওয়াসার মোড়, ইস্পাহানী মোড়, দেওয়ানহাট, বাদামতলী মোড়, এক্সেস রোড, বড়পোল, নয়বাজার বিশ্বরোড মোড় হয়ে তিনি তার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে পৌঁছেন।

জনসংযোগকালে মনজুর আলম সবাইকে সালাম জানান এবং ভোটকেন্দ্রে আসতে উদ্বুদ্ধ করেন।

দুপুরে তিনি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে ২০ দফা কর্মপরিকল্পনার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন এবং সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।

এ সময় তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি এ নির্বাচন দেশের দলমত নির্বিশেষে তথা সব নাগরিকের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে, নির্ভয়ে, বিনা বাধায় ভোট কেন্দ্রে এসে তাদের মহামূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করবেন। ২০১০ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে চট্টগ্রাম মহানগরবাসী বিপুল ভোটে আমাকে মেয়র নির্বাচিত করে নগরভবনে পাঠিয়ে সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। আমিও মেয়র নির্বাচিত হয়ে আমার সাধ্যমত আপ্রাণ চেষ্টা করেছি নগরবাসীকে সেবা দিতে। এবারও ঠিক সেভাবে আমার প্রতীক ফুলকপি মার্কায় আপনাদের মহামূল্যবান ভোট দিয়ে মহান সংসদে পাঠিয়ে আপনাদের দাবিদাওয়া, নাগরিক অধিকার, এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলার সুযোগ করে দেবেন। ৪০ বছর যাবত আমি মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি আমি। ১৯৯৪ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ৩ মেয়াদে প্রায় ১৭ বছর ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে নির্বাচিত কাউন্সিলর পদে থেকে এলাকার সেবা করেছি। এ সময়ে ৯ বার (সাড়ে তিন বছর) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি।

আপনারা জানেন আমার মরহুম শ্রদ্ধেয় পিতা-মাতার নামে মোস্তফা হাকিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছি। এছাড়াও আমি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন এবং হোছনে আরা মনজুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছি। বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠানের অধীনে ১০৩টি সেবাধর্মীমূলক প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে যেখানে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাতৃসদন হাসপাতাল, ডায়াবেটিক হাসপাতাল, বৃদ্ধাশ্রম, মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, মন্দির, মহাশশ্মান ইত্যাদি। এ প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে আমি সারাজীবন মাটি ও মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই।

ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হারিছ, জাফর আহমদ, আবুল কাশেম, শাহ আলম, সুলতান আহমদ, মো. নুর মিয়া, এমএ তাহের, শাহীন আলম, মোহাম্মদ সরওয়ার আলম, নিপুর চৌধুরী, শামসুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *