চট্টগ্রাম

গোডাউনের ধারণক্ষমতা নিয়ে ধোঁয়াশা

অগ্নিকাণ্ডের কারণে বাজারে চিনির দামে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করেছেন এস আলম গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার (করপোরেট) মোহাম্মদ আকতার হোসেন। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান তিনি। এদিকে পুড়ে যাওয়া গোডাউনটির ধারণক্ষমতা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।

মোহাম্মদ আকতার হোসেন বলেন, ‘আগামী দুয়েকদিনের মধ্যে পুরোদমে প্রোডাকশনে নামতে পারবো। এ আগুনের পরিপ্রেক্ষিতে বাজারে চিনি কমবে না। শুধু রমজান নয়; আমাদের ৬-৭ লাখ টন পাইপলাইনে রয়েছে। শুধু একটা গোডাউনে আগুন লেগেছে, সেটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে সেটিতে ক্ষয়ক্ষতি হলেও পাশে আরো গোডাউন রয়েছে। সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ চিনি রয়েছে। আর বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।’

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রসঙ্গে এস আলম গ্রুপের এই কর্তা বলেন, ‘এ মুহূর্তে সেটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। যারা তদন্তে কাজ করছেন, তাদের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত কোনো কিছু নিশ্চিত নয়। একইসঙ্গে কীভাবে আগুন লেগেছে সেটিও পরে জানা যাবে।

অগ্নিকাণ্ডের পরপরই চিনিকলের ওই গোডাউনে প্রথমে ছিল ৬৫ হাজার মেট্রিক টন, রাতে ১ লাখ মেট্রিক টন আবার সকালে দেড় লাখ মেট্রিক টন পুড়ে যায় বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। অথচ একটি গোডাউনে ধারণক্ষমতা ৬৫ হাজার মেট্রিক টন বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর এস আলম গ্রুপের এই কর্মকর্তা এড়িয়ে গেছেন। এতে গোডাউনটির ধারণক্ষমতা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।

পর্যাপ্ত ফায়ার সেফটি না থাকা প্রসঙ্গে আকতার হোসেন বলেন, ‘এ ব্যাপারে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। আপনারা সরেজমিনে আছেন, আমাদের কোনো লিকেজ আছে কিনা?’

তিনি আরো বলেন, ‘অগ্নিঝুঁকি থেকে বাঁচতে যা যা দরকার তা আমাদের ছিল। মেজর যেগুলো নেওয়ার কথা ছিল তা পুরোটাই নেওয়া হয়েছিল।’

সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল ৩টা ৫৩ মিনিটে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের এই চিনিকলের একটি গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বিকেল ৪টার দিকে খবর পেয়ে শুরুতে দুটি ইউনিট, পরে আরো ৫টি ইউনিটসহ মোট ৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তবু আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় যুক্ত হয় আরো ৭টি ইউনিট। সবমিলিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৪ টি ইউনিট কাজ করে। রাত ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস।

এদিকে, আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কাজ করেছিল সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী সদস্যরা। তবে সকালে আগুন নেভাতে দেখা গেছে শুধু ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের। এছাড়া, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসায় বেশ কিছু ইউনিট স্টেশনে ফিরে গেছে। বর্তমানে সাতটি ইউনিট কাজ করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *