অর্থনীতিচট্টগ্রাম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক টোলের আওতায় আসবে

চট্টগ্রাম: দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। এই মহাসড়ক আট লেনে প্রশস্তকরণ এবং উভয়পাশে দুটি করে সার্ভিস লেন নির্মাণ প্রকল্পের সমীক্ষা শুরু হচ্ছে মার্চে। তবে পুরো মহাসড়ক আট লেন হবে না। যানবাহনের চাপের ওপর ভিত্তি করে কোথাও ছয় লেন, কোথাও আট লেন হবে।

চট্টগ্রাম সিটি গেট থেকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত দূরত্ব ২৩২ কিলোমিটার। দিনে এ সড়কে ১০ হাজারের বেশি ট্রাক চলাচল করে। প্রতিদিন ৩০ হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করে বলে ২০২০ সালে পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সড়কে যানবাহন বাড়ছে। ফলে অনেক স্থানে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।

২০০৬ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করতে প্রকল্প নেয় সরকার। মেয়াদ শেষ হয় ২০১৬ সালে। ব্যয় হয় প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। এসময় চালু হয় কুমিল্লার দাউদকান্দি টোল প্লাজা থেকে চট্টগ্রাম সিটি গেট পর্যন্ত ১৯২ কিলোমিটার চার লেন সড়ক।

জানা গেছে, নতুন প্রকল্পের আওতায় নারায়ণগঞ্জের মদনপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রামের বারইয়ারহাট থেকে সিটি গেট পর্যন্ত যেসব স্থানে যানজট তৈরি হতে পারে, সেসব স্থানে ওভারপাস নির্মাণ করা হবে। যেসব স্থানে সড়ক বাঁকা, সেগুলো সোজা করা হবে। এটি সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প। প্রকল্পটিতে অর্থায়নে অনেক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা আগ্রহ দেখিয়েছে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে চট্টগ্রামের সিটি গেট পর্যন্ত মহাসড়ক আট লেনে উন্নীত করতে খরচ হবে ৭৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। আলাদা তিনটি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশস্ত করা হবে মহাসড়ক। একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে বৃহত্তর চট্টগ্রাম অংশে; যেটি হবে ফেনী থেকে চট্টগ্রামের সিটি গেট পর্যন্ত। এতে খরচ হবে ১৮ হাজার ৯৪২ কোটি টাকা। এই অংশের দৈর্ঘ্য ৬৯ কিলোমিটার। এর মধ্যে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে ঋণ চাওয়া হচ্ছে। বাকি টাকা সরকার যোগান দেবে। ২০২৪ সালে শুরু হয়ে ২০২৯ সালে সড়ক প্রশস্তের কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *