খেলা

পারলেন না মোস্তাফিজ, সেঞ্চুরিতে জয় ছিনিয়ে নিলেন স্টয়নিস

শেষ ওভারে জয়ের জন্য লখনৌয়ের প্রয়োজন ১৯ রান। মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। কিন্তু বাংলাদেশের পেসার পারলেন না চেন্নাইকে জেতাতে। প্রথম বলে ছক্কা, পরের দুই বলে দুটি চার। তিন নম্বর বলটি আবার হলো নো। ফ্রি হিটে আবার ৪ মেরে সেঞ্চুরিয়ান মার্কাস স্টয়নিস লখনৌকে এনে দিলেন অসাধারণ এক জয়।

২১১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে অজি অলরাউন্ডারের ৬৩ বলে ১২৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে লখনৌ সুপার জায়ান্টস। এ নিয়ে পরপর দুই ম্যাচে চেন্নাইকে হারাল কেএল রাহুলের দল।

স্টয়নিসের সেঞ্চুরিতে বৃথা গেছে রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও শিবম দুবের দুটি দুর্দান্ত ইনিংস। ৬০ বলে ৩ ছক্কা ও ১২ চারে ১০৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন চেন্নাই অধিনায়ক। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন ২৭ বলে ৭ ছক্কা ও ৩ চারে ৬৬ রান করা শিভম দুবে। দুজন মিলে গড়েছেন মাত্র ৪৬ বলে ১০৪ রানের জুটি।

জবাব দিতে নেমে মোস্তাফিজ তার প্রথম ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে লখনৌ অধিনায়ককে মাত্র ১৬ রানেই আউট করে দিয়ে নাচিয়ে তুলেছিলেন চিপকের দর্শকদের। এরপর পাড়িকালকে নিয়ে ১১ ওভারে ৮৮ রানে নিয়ে যান লখনৌকে স্টয়নিস। এরপর নিকোলাস পুরান (৩৪ রান) স্টয়নিসকে সঙ্গ দেন ৭০ রানের জুটিতে। পাথিরানা পুরানকে ফেরাতে পারলেও স্টয়নিসকে আটকাতে পারেনি কেউ মাঝে এক ওভারে ১৩ রান দেয়া মোস্তাফিজ ১৮তম ওভারে আবার বোলিংয়ে ফিরে দেন ১৫ রান। এ সময়ই আইপিএলে প্রথম আর টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন স্টয়নিস মাত্র ৫৬ বলে (৯ চার ও ৫ ছক্কায়)।

২০তম ওভারে আটকাতে হবে ১৭ রান, রুতুরাজ মোস্তাফিজকেই বোলিংয়ে আনেন। কিন্তু শেষটা ভালো করতে পারেননি মোস্তাফিজ। ৩.৩ ওভারে ৫১ রান খরচায় এক উইকেটই একমাত্র সাফল্য হয়ে থাকে মোস্তাফিজের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *