চট্টগ্রাম

হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন ব্যবসায়ী, মেম্বার নিয়ে জন্মোৎসবে আসামিরা

চট্টগ্রাম : ইয়াবা কারবারের প্রতিবাদ ও দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে এক ব্যবসায়ীকে বন্দুকের বাট ও লোহার রড দিয়ে পঙ্গু করে দেওয়ার ঘটনায় মামলার আসামিদের পুলিশ খুঁজে পাচ্ছে না। অথচ মামলাটির একাধিক আসামি একত্রিত হয়ে এক ইউপি সদস্যকে সাথে নিয়ে প্রধান আসামির জন্মদিন পালন করেছে। আবার সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে আসামিরা।

পলাতক আসামির জন্মদিন পালনে ইউপি সদস্যের উপস্থিতির বিষয়ে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ‘কোনও জনপ্রতিনিধির এমন আচরণ সমাজে ভালো বার্তা দেয় না। আমি বিষয়টি দেখছি।’

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, এলাকায় মাদক কারবার ও কিশোর গ্যাং সদস্যদের নানা অপকর্মের প্রতিবাদ করায় সাতকানিয়া উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়নের উত্তর ঢেমশা মাইজপাড়া এলাকার মৃত কালামিয়া সওদাগরের পুত্র কেরানীহাটের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের সাথে একই এলাকার মোহাম্মদ শফির ছেলে একাধিক ইয়াবা মামলা ও সহিংসতা মামলার আসামি শাহাদাতের সাথে বিরোধ চলে আসছিল।

এক পর্যায়ে নজরুলের কাছ থেকে চাঁদা দাবিও করে শাহাদাত। সেই বিরোধের সূত্র ধরে গত ১৮ মার্চ সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে কেরানীহাট থেকে ইফতার সামগ্রী নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে কেরানীহাট কেন্দ্রীয় মসজিদের পেছনে পৌঁছালে কিশোরগ্যাং লিডার ও ইয়াবা কারবারির নেতৃত্বে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা স্থানীয় আরও ৮-১০ জন দুর্বৃত্ত অস্ত্র উঁচিয়ে গতিরোধ করে নজরুলকে অস্ত্রের বাট দিয়ে হাত, পা ও মাথায় আঘাত করলে তিনি রক্তাক্ত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

পরে আহত নজরুলকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। সেই থেকে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন নজরুল। এই ঘটনায় সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ঢেমশা ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ শফির ছেলে শাহাদাত হোসেনকে প্রধান আসামি করা হয়। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আরও ৮ আসামির নাম।

চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আসামিরা টাকার জোরে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে। আসামিদের নানা হুমকিতে আমরা শংকিত। এই বিষয়ে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *