দেশজুড়ে

কিশোরগঞ্জে গানের আসরে হামলা, নিহত ১

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বৈশাখী মেলা উপলক্ষ্যে আয়োজিত গানের আসরে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে শরীফ উদ্দিন (২৮) নামে এক যুবক নিহত এবং আজাদ ও লিটন নামে দুই যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত শরীফ একই উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের কুর্শা কান্দা গ্রামের হোসেন উদ্দিনের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার নারান্দী ইউনিয়নের পোড়াবাড়ীয়া বৈশাখী মেলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার নারান্দী ইউনিয়নের পোড়াবাড়ীয়া গ্রামে শত বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে মেলা শেষ হয়ে গেলেও মেলা কমিটিকে না জানিয়ে গ্রামের সজিব, সোহেল, শাহিনসহ কয়েকজন যুবক মিলে একই স্থানে গানের আসর বসায়। আর এমন আয়োজনে অর্থ সহায়তা প্রদান করে গ্রামের শিল্পপতি আব্দুল মান্নান মানিক।

গানের ওই আসর শুরু হওয়ার পরই বৈশাখী মেলার আয়োজক কমিটির সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এতে পণ্ড হয়ে যায় গানের আসর।

তবে, সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন শরীফ উদ্দিন, আজাদ মিয়া ও লিটন মিয়া নামের তিন যুবক। তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শরীফ উদ্দিন ও আজাদ মিয়াকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে শরীফ উদ্দিনের মৃত্যু হয়। এছাড়া, উন্নত চিকিৎসার জন্য আজাদ মিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অপরদিকে, লিটন মিয়া পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পোড়াবাড়িয়া বৈশাখী মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও নারান্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুছলেহ উদ্দিন জানান, মেলা শেষ হয়ে গেছে প্রায় সাতদিন হয়েছে। তারা মেলা কমিটিকে না জানিয়ে সেখানে বৈশাখী গানের আসরের আয়োজন করে। শুনেছি এই গানের আসরকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন নিহত হয়েছে। আমার দাবি হচ্ছে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামের নিরীহ এবং সাধারন মানুষ যেনো হয়রানির শিকার না হয়। প্রকৃত দোষি ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তিরও দাবি করেছেন তিনি।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান টিটু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় মামলার রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দোষী ব্যক্তিদের কে আইনের আওতায় আনতে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *