চট্টগ্রামরাজনীতি

রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন আমাদের স্বতন্ত্র জাতিসত্তার সবচেয়ে বড় উপাদান : নাছির

রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন আমাদের স্বতন্ত্র জাতিসত্তা এবং জাতি গঠনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় উপাদান বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদ ও নাগরিক সমাজের সহযোগিতায় অমর একুশে বইমেলা মঞ্চে লেখক সম্মিলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, বই মানুষকে সামাজিক অবক্ষয় থেকে দূরে রাখে। জ্ঞানের দুয়ার খুলে গেলে অপশক্তির কপাট বন্ধ হয়ে যায়। নতুন পাঠক সৃষ্টি করতে নতুন বইয়ের বিকল্প নেই। বই কেনা ও পাঠের অভ্যাস গঠনে পারস্পরিক ভাব বিনিময়ের সুযোগ করে দেয় বই মেলা। একুশের বইমেলা নবীন-প্রবীণদের সংযোগ রচনায় প্রকৃতই এক মিলন তীর্থ।

“লেখকদেরকে বয়স দিয়ে নয়,মূল্যায়ন করতে হবে তাঁর সৃষ্টি কর্ম দিয়ে। বাংলাদেশের বিদ্যমান সংকট থেকে মুক্তির জন্য ও সুন্দর আগামীর লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক বিকাশ অপরিহার্য। মানবিক বিকাশের মাধ্যমে সমাজ ও রাজনীতি থেকে হিংসার অবসান ঘটাতে হবে।”

তিনি বলেন, সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতির মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজেদের স্মার্ট নাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রধান আলোচক কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন, বই মেলা জ্ঞানের মেলা, আলোর মেলা। অমর একুশে বই মেলা আমাদের মেধা বিকাশের ক্ষেত্রে রাখছে অনন্য ভূমিকা। বই হচ্ছে মানুষের সত্যিকার বন্ধু। যা মানুষের বুকের ভিতর সযত্নে লালন করা সপ্নের বাস্তব রূপ দিতে পারে।

“লেখক, কবি, সাহিত্যিকদের আকাশের মতো উদার, সমুদ্রের মতো গভীর ও মানবিক হতে হবে। জঙ্গি সন্ত্রাসীদের গোলাবারুদের চেয়ে লেখকদের কলম বেশি ধারালো, তাই প্রত্যেক কবি সাহিত্যিককে সেই ধারালো কলমের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে।” তিনি একুশের চেতনায় নতুন প্রজন্মকে শিল্পীত জীবনের পথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

লেখক সম্মিলনে কবি ও প্রাবন্ধিক অভিক ওসমানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বইমেলা কমিটির আহবায়ক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত ডিআইজি জয়নুল টিটু। আলোচনা সভা শেষে অঁলা ব্যান্ড সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *